শুরুতেই আপনাকে একটি প্রশ্ন করি ! মনে করুন আমার এক হাতে Mental peace & Happiness রয়েছে এবং অন্ন হাতে চকলেট রয়েছে। এইবারে এই দুইটি জিনিসকে যদি কোনো ছোট বাচ্চাকে অফার করি তাহলে আপনার কি মনে হয়, ওই বাচ্চাটি কোনটি বেছে নিবে ? এরই বিপরিতে যদি আমি আপনাকে অফার করি, তাহলে আপনি কোনটি বেছে নিবেন ? এই দুটি প্রশ্নের উত্তরটিকে ভালোভাবে ভেবে দেখুন। কারন আমরা এই বিষয়টির ওপর আলোচনা করবো।
আজকের এই পোস্টে আপনাকে আমি Albert Einstein এর ফেমাস থিউরি "Theory Of Relativity" বলতে চলেছি যে কিভাবে আপনি আপনার ইনারবিএল হ্যাপিনেসকে খুজে পেতে পারেন এবং কিভাবে সেটিকে আপনার পার্মানেন্ট পার্টনার বানাতে পারেন। যে মুহুত্ত গুলতে আপনি হ্যাপি ছিলেন, লাইফ এর যে মুহুত্ত গুলতে আপনি আনন্দদিত ছিলেন, সেতাই জীবন। অর্থাৎ জীবন সেই মুহুত্ত গুলকেই মনে করা হয়, যে মুহুত্ত গুলতে আপনি আনন্দদিত ছিলেন। এ কারনের জন্যই লাইফএ হ্যাপি থাকাটা খুবই জরুরী। সবসময় আনন্দিত আর হ্যাপি থাকাটা আপনার Physical Health আপনার Mental Health এবং এর সাথে সাথে আপনার Professional life এ এক বিশাল Positive Change এনে দেয়। যে সকল লকেরা আনন্দিত থাকে তাদের Blood Pressure নরমাল থাকে, আর শুধু তাই নয়, এই সকল লোকেদের Heart De-asses হওয়ার সম্ভাবনা খুবে কম থাকে। সব সময় আনন্দিত থাকলে আমাদের Immunity ও বেরে যায়। আর এই সকল কথাগুলো Scientifically Proved.
যদি Mental Health এর কথা বলি, তাহলে হ্যাপি থাকার ফলে বডিতে স্ট্রোম হরমোন এর মাত্রা কমে যায়, জার ফলে স্ট্রেস লেভেল কম হয়। ডিপ্রেশন এর মাত্রা ও অনেক কমে যায়।
আর যদি Professional & Economical Life এর কথা বলি, তাহলে এই Professional Life এ আনন্দিত থাকা লোকদের ওপর Studies করার পর জানা গেছে যে, এইসব লোকদের Productivity এবং Efficiency অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এই গুনটি তাদের Professional Life কে আরও অনেক বেশি Boost করে।
Happiness আমাদের Energy লেভেল কেও অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় এবং এর সাথে সাথে আমাদের Confidence, Focus এবং Concentration Power কেও বাড়িয়ে দেয়। আমার মনে হয় এতগুল কথা Sufficient হবে, আপনাকে এই কথাটি বুজানোর জন্য যে, আনন্দিত বা Happy থকাটা Life এ কতটা জরুরী।
তো চলুন এইবার আমরা পোস্ট এর শুরুতে বলা প্রশ্নের ব্যাপারে কথা বলেনি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলবেন ছোট শিশুটি Chocolate নিয়েছে এবং আমাদের বয়সী কোনো মানুষ Mental Peace এবং Happiness কেই বেছে নিবে তাই না ? কিন্তু কেনো ?
এর কারন হল এই, আজ এই 21 Sanctuary তে Mental Peace বা মানসিক শান্তি & Happiness ই হলো আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। কারন আমারা সব কিছুকেই তো অর্জন করে নিয়েছি ঠিকই, কিন্ত Happiness & Mental peace এর কথা একেবারেই ভহুলে গেছি তাইনা ? কিন্তু এরই বিপরীতে সেই ছোট শিশুটির কাছে এই Mental peace বা Happiness কোনো কাজের নয়, কারন তার Default Settings এ আগে থেকেই এই দুটো জিনিস রয়েছে। তারমধ্যে আগে থেকেই এই দুটো জিনিস বিদ্যমান। কিন্তু আমরা কি করেছি, আমরা এই এই দুটো জিনিসকে নষ্ট করে দিয়েছি। আসলে আমারা Happiness বা আনন্দ এর real Concept ই বুজতে পারি নি ।আমারা ক্ষণিকের আনন্দ বা Pleasure কে Happiness মনে করি। আর এর পিছনে দৌড়াতে শুরু করে দিয়েছি। তো চলুন জেনেনি যে কিভাবে
Albert Einstein এর ফেমাস থিউরি "Theory Of Relativity" আপনাকে আপনার Real Happiness কে পেতে সাহায্য করবে।
Well ! আমারা সব সময়ই Pleasure কে আনন্দ মনে করেনি। Pleasure, Happiness এর একটা Relative Term. Pleasure আমাদের life এর Condition এর ওপর নির্ভর করে। এবং এরই সাথে এই একটি Temporary জিনিস। বুজতে পারলেন নাতো ? চলুন, বিষয়টিকে একটু সহজ ভাবে বুজানোর চেষ্টা করি।
সেই আনন্দের কথা মনে করুন তো যেইদিন আপনি আপনার প্রথম মোবাইল ফোন অথবা আপনার প্রথম বাইক কিনেছিলেন। খুবই আনন্দ হয়েছিল তাই না ? এই আনন্দটি হচ্ছে Pleasure, Happiness নয়। আর এই Pleasure বা Joy নির্ভর করে আমাদের জিবনের অবস্থার ওপরে। যে পরিমান আনন্দ আপনার প্রথম ফোন কিনার সময় হয়েছিল, সেই পরিমান আনন্দ আপনার তৃতীয় বার ফোন কিন্রা সময় হবে না। তাই না ?অর্থাৎ এই Joy Temporary তো বটেই, এর সাথে সাথে এটি আবার Relative ও।
এরপর এবার যদি ফের Pleasure এর প্রয়োজন হয় তাহলে এইবার আপনার সাধারন ফোন নয়, I phone প্রয়োজন হবে। এইবার আপনিই বলুন এইতা কি আসল Happiness বা আনন্দ ? নিশ্চয় না। কারন এটিতো Temporary আসছে আবার চলে যাচ্ছে। এতি হলো Pleasure. আর এইখানেই Albert Einstein এর ফেমাস থিউরি "Theory Of Relativity" দেখতে পাওয়া যায়।
Pleasure যে খারাপ তা কিন্তু নয়। Pleasure ও সবার মধ্যে থাকা দরকার। এইগুলো আপনার Life এ এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করে। এইগুল আপনার Life Grow করতে সাহায্য করে, কিন্তু এইগুলোকে Happiness ভেবে Confused হওয়াটাই হলো আমাদের ভুল। আর এই কারনের জন্যই আমরা Happiness কে খুজে পাচ্ছি না।
Pleasure হলো এক ধরনের Relative, Temporary & Variable জিনিস। কিন্তু Happiness কোনদিনই Temporary হতে পারে না। এটি Permanent এবং Stable. Happiness বাহিরের বা ভাজ্জিক কনো বস্তু ধারা পাওয়া যায় না। Happiness আপনার মধ্যেই রয়েছে। Happiness Permanent. এটি কখনও Change হয় না। Happiness, বা আনন্দ বা খুশি আসলে এক ধরনের State of Mind. যদি সত্যিই আপনি জীবনে আনন্দিত থাকতে চান তাহলে আপনাকে আপনার Mind কে সেই State এ সেই Stage এ নিয়ে যেতে হবে। যেখানে আপনি এই Happiness কে Feel করতে পারবেন। দেখুন আনন্দদের stage এ যাওয়া মানে এই নয় যে আপনার জীবনে কখনও দুঃখ আসবে না, কোনদিন ব্যাথা আসবে না, এমনটি নয়। আসলে দুঃখ, কষ্ট , ব্যাথা, ঝামেলা সব মিলিয়েই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। একটি জীবিত শরীরই এই সকল জিনিসগুলো Feel করতে পারে। এই জিনিসগুলো হচ্ছে প্রমান যে আপনি জীবিত আছেন।
এইবার প্রশ্ন হল কিভাবে নিজের Mind কে এই State Of Happiness এ নিয়ে যাবো ?
দেখুন নিজের Life এ বড় কোনো changes কে আনতে চাইলে, আপনাকে ছোট ছোট কিছু Step কে আপনার লাইফে এফ্লাই করতে হবে। তবেই আপনি বড় কিছু Changes কে আনতে পারবেন। যাইহোক নিজের Life কে State Of Happiness এ নিয়ে যাওয়ার ৪ টি Step আজকে আপনাদের সাথে Share করবো।
1. Daily Exercise
শুনে হইত আপনি অবাক হলেন, কিন্তু এইটাই সত্ত যে Daily Exercise করলে আমাদের Mind ফ্রেশ থাকে। যা আমাদের Happy রাখতে সাহায্য করে। আর এই কথাটি Scientifically Proved. Physical Exercise এর মধ্যে যেইটি করতে আপনার ভালো লাগে, সেইটি করলে আপনার মনকে তো ভালো রাখবে সাথে সাথে আপনার Body কেও Strong করবে। দৌড়ানো , সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, পুসআপ , ফুলআপ, এইছারাও আরও অনান্ন্য Exercise গুলো আমাদের Body তে এক ধরনের Chemical কে Release করে যা হল DOPAMINE. এই DOPAMINE আমাদের Naturally Happy থাকতে সাহায্য করে। DOPAMINE আমাদের মধ্যে ডিপ্রেশন এর মাত্রা কেও কমিয়ে দেয়। এই কারনে Daily Exercise আমাদের Physically Feet রাখার সাথে সাথে আমাদের Mind ও ফ্রেশ রাখে।
2. Meditation
দ্বিতীয় Habit টি হলো Meditation. প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট Meditation করুন। প্রতিদিন Meditation করলে আমাদের মন শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং এর সাথে সাথে আমাদের ব্রেইনও Strong থাকে। বহু Study করে পাওয়া গেছে Daily Meditation করা লোকেদের ব্রেইনে Frontal Cortex এর পরিমান বেরে যায়। Brain এর এই Frontal Lobe আমদেরকে Situation Handling, Decision Making, Analytical কাজ গুলোকে করতে সাহায্য করে। এই কারনে Meditation করা লোকেদের Decision Making বাকি লোকদের তুলনায় বেশি হয়। এবং এরা যেকোনো Situation কে খুব সহজে Handel করতে সক্ষম হয়।
3.Stay Away From Negativity
তৃতীয় জিনিসটি হল এই Stay away from negativity. আপনাকে নিজেকে নেচিবাচক বা নেগেটিভ জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনাকে নিজেকে নেগেটিভ লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে। নেগেটিভ কথা বার্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। নেগেটিভে নিউস থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং সব থেকে ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে নিজের ব্রেইন থেকে নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা Create করা বন্ধ করতে হবে।আপনাকে Practice করতে হবে যে আপনি লোকেদের খারাপ কথা শুনবেন না। তাদের খারাপ কথায় কান দেবেন না। এবং তাদের সাথে খারাপ বিষয়ে আলোচনা করবেন না। যদি আপনি সব সময় নিজের ব্রেইনে নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা জেনেরেট করতে থাকেন তাহলে কিভাবে আপনি Positive চিন্তা ভাবনা করবেন ? কারন আপনার ব্রেইন তো নেগেটিভিটে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। আর এই নেগেটিভ এনার্জি আপনাকে কোনো দিনই Happy থাকতে দিবে না। So, সবসময় Positive চিন্তা ভাবনা করতে শিখুন।
4.Gratitude
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ধর্মেই নিজের এবং GOD এর প্রতি Thankful হওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পকরিতি এবং ইশর এর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। যা আপনার আছে, যা আপনি পেয়েছেন তার জন্য আপনার Thankful হওয়া দরকার। তাই আজই একটা লিস্ত তৈরি করুন যে সকল জিনিস, বেক্তি, ঘটনা, এবং সম্পর্ক গুলির যেগুলি আপনার কাছে Blessing হয়ে এসেছে। যেগুলি আপনাকে সব সময় আনন্দ দিয়েছে। আর এই সকল জিনিস গুলির Existences এর জন্য আপনার Nature এবং আপনার GOD কে ধন্নবাদ বলতে শিখুন।
এই ৪ টি Habit কে আপনি Continue ২১ দিন পর্যন্ত করুন। ২১ দিন এই কারনেই বললাম , কারন কোনো কাজ যদি আমরা ২১ দিন পর্যন্ত করতে থাকি তাহলে আমাদের ব্রেইন সেই কাজটিকে আমাদের Daily রুটিনে এড করে নেয় এবং সেইটিকে আমাদের Habit বানিয়ে দেয়। তো এই ৪ টি অভ্যাসকে যদি আপনি ২১ দিন পর্যন্ত Continue করতে পারেন তাহলে ২২ নাম্বার দিনে এইগুলি আপনার Habit তৈরি হয়ে যাবে। এবং এর সাথে সাথে Happiness কেও আপনি আপনার Permanent সাথী বানাতে পারবেন। আর এটি করতে করতে আপনি Naturally Positive State Of Mind এ থাকার কোশলও জেনে যাবেন।
আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছেন। যদি পোস্টটি সত্যিই ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার আসে পাশের মানুষদের কাছে Share করবেন, যেন তারাও শিখতে পারে কিভাবে জীবনে Happy থাকা যায়।


0 Comments